বিচারপতির কাছে চাঁদা দাবি: যুবদল নেতাকে বহিষ্কার
নিজস্ব প্রতিবেদক
আপলোড সময় :
০২-০১-২০২৫ ০৬:৪৩:০২ অপরাহ্ন
আপডেট সময় :
০২-০১-২০২৫ ০৬:৪৩:০২ অপরাহ্ন
চাঁদাবাজির অভিযোগে গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আক্তারুজ্জামানকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটি। বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) যুবদলের সহ-দপ্তর সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভূঁইয়ার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, চাঁদাবাজিতে জড়িত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আক্তারুজ্জামানকে প্রাথমিক সদস্যপদসহ দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না এবং সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম নয়নের সিদ্ধান্তে এ বহিষ্কার কার্যকর করা হয়।
বুধবার (১ জানুয়ারি) বিকেলে গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার কালির বাজার এলাকায় সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি খুরশিদ আলম সরকারের কাছে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন আক্তারুজ্জামান। স্থানীয়দের সহায়তায় পুলিশ তাকে আটক করে। উল্লেখ্য, এর আগেও গত বছরের ৬ আগস্ট হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে বিচারপতির কাছে একই পরিমাণ চাঁদা দাবি করেছিলেন তিনি।
গাইবান্ধা জেলা যুবদলের সভাপতি রাগীব হাসান চৌধুরী জানিয়েছেন, “এ ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। চাঁদাবাজ কিংবা অপকর্মকারীদের যুবদলে কোনো জায়গা নেই। দল সবসময় শৃঙ্খলা রক্ষার পক্ষে।”
যুবদলের বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, বহিষ্কৃত আক্তারুজ্জামানের সঙ্গে কোনো সাংগঠনিক সম্পর্ক রাখার ব্যাপারে সতর্ক করা হয়েছে। দল চাঁদাবাজি বা কোনো ধরনের অপকর্মের দায়ভার বহন করবে না।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে যুবদল একটি বার্তা দিতে চেয়েছে যে, তাদের শৃঙ্খলার বাইরে কোনো কার্যকলাপ বরদাস্ত করা হবে না। এ সিদ্ধান্ত দলের ভাবমূর্তি রক্ষা ও সংগঠনকে চাঁদাবাজদের প্রভাবমুক্ত রাখতে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
যুবদলের এই কঠোর অবস্থান প্রমাণ করে যে দলীয় শৃঙ্খলা ও সুনাম রক্ষার জন্য তারা আপসহীন। চাঁদাবাজির মতো অপকর্মে জড়িত নেতাদের বিরুদ্ধে এমন পদক্ষেপ ভবিষ্যতেও দলীয় কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে সহায়ক হবে।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Dinajpur TV
কমেন্ট বক্স